ভূমিকা
বীরেশ্বর গুপ্তর এই শেষ পাণ্ডুলিপিটা মাসখানেক আগে আমার হাতে এসেছিলো। হাসপাতালের কর্তারা তার অন্যান্য জিনিশের সঙ্গে এটাও তার স্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, সেখান থেকে আমি পেয়েছি। সঙ্গে আরম্ভ-করা, শেষ-না-করা আরো কিছু লেখার কাগজ- পত্ৰ। টেবিলের দেরাজ থেকে, তোশকের তলা থেকে, বইয়ের পাতার ভাঁজ থেকে, কান-ভাঙা, দোমড়ানো, এলোমেলো ঐ কাগজ- গুলো আমাকেই খুঁজে বের করতে হ’লো ; কেননা সুধা একে শোকে- দুঃখে জর্জর, তার উপর স্বামীর সাহিত্যিক বা আন্তরিক জীবনের সঙ্গে কোনোকালেই তার যোগ ছিলো না। সেগুলোকে গুছিয়ে, মিলিয়ে, তার প্রত্যেকটি অক্ষর এই এক মাস ভ’রে খুঁটে-খুটে মন দিয়ে পড়েছি। খুব খারাপ লাগছে এ-কথা বলতে যে একটি লেখাও এতদূর পর্যন্ত অগ্রসর হয়নি, যাতে অসমাপ্ত রচনা ব’লেও প্রকাশ করা যেতে পারে। বীরেশ্বরের মতো প্রচণ্ড লেখক যে এতগুলো লেখা আরম্ভ ক’রে প্রত্যেকটাকে ছেড়ে দিয়েছে, এতেই বোঝা যায় ইদানীং সে কত কষ্ট পাচ্ছিলো, কী-রকম ছিন্নভিন্ন আর বিশৃঙ্খল হ’য়ে উঠেছিলো তার মন ৷
একমাত্র ব্যতিক্রম হাসপাতালে লেখা এই রচনাটা। এটাও অবশ্য ঠিকমতো সমাপ্ত নয়, কিন্তু প্রকৃত অর্থে ‘রচনা’ও এটাকে বলা যায় না ৷ কোনো পাঠকের জন্য সে এটা লেখেনি; লিখেছিলো, তার নিজের মতে, হাসপাতালের ক্লান্তিকর সন্ধ্যাগুলো কাটাতে। কিন্তু অন্য…
শেষ পাণ্ডুলিপি
বুদ্ধদেব বসু
এম. সি. সরকার অ্যাণ্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ
কলকাতা-১২
প্রকাশক : সুপ্রিয় সরকার
এম. সি. সরকার অ্যাণ্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ
১৪, বঙ্কিম চাটুজ্যে স্ট্রীট, কলকাতা-১২
রচনাকাল : ১৯৫৫-৫৬
প্রথম সংস্করণ
আশ্বিন ১৩৬৩ : অক্টোবর ১৯৫৬
দাম : তিন টাকা চার আনা
প্রচ্ছদ : শ্ৰী পূর্ণেন্দু পত্রী
মুদ্রক : শ্রী রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
প্ৰভু প্রেস
৩০, কর্নওআলিম স্ট্রীট, কলকাতা-৬
Reviews
There are no reviews yet.