সোমেন চন্দের জীবন নিয়ে আলোচনার আগে, আমাদের চন্দ বংশ, পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য পেশ করা প্রয়োজন।
আমাদের গ্রামের নাম বালিয়া, আমরা বলতাম, বাইল্যা। পূর্বে ছিল নারায়ণগঞ্জ সাব- ডিভিশনের বালীগঞ্জ থানার অধীন। বর্তমানে নরসিংদি জেলার পলাশ উপ-জেলার অন্তর্ভুক্ত। ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ ষ্টেশন থেকে ছয় মাইল। পলাশ থেকে তিন মাইল। আর চরসিন্দুর এক মাইল। গ্রাম থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটাপথে শীতলক্ষা নদী। স্বচ্ছ, টলটল জলের এই নদী। এমন স্বচ্ছ জলের নদী এই উপমহাদেশে আমি আর দেখিনি। নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষার জলে প্রস্তুত “রায়বণের মোজ” সেই যুগে সমস্ত পূর্ব বাংলায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিল।
বালিয়া গ্রামে আমাদের ছয়-সাত পুরুষের বাস। দুই একটি আশ্রিত (আত্মীয়) পরিবার ও কয়েক ঘর প্রজা ছাড়া গ্রামটিতে আমাদের চন্দদেরই বাস। ছোট জোতদার পরিবার। পিতামহ রামকুমার চন্দ পর্যন্ত আমাদের পরিবার বেশ সচ্ছলই ছিল। ঢাকা বাংলা একাডেমি প্রকাশিত, সোমেন চন্দের প্রথম জীবনী লেখক হায়াৎ মামুদ অনুসন্ধানের প্রয়োজনে আমাদের গ্রামে গিয়েছিলেন। তিনি আমাদের বংশের “যাঁরা রয়েছেন, তাদের” বেশ সচ্ছলই দেখেছেন।
জ্যাঠামশায় রাজেন্দ্র কুমার লিখিত বংশ-লতিকা অনুযায়ী আমাদের ধরে সাত-পুরুষ। এখানে আমরা কোথা থেকে এলাম? এর আগে আমাদের বাস কোথায় ছিলো। সব রয়েছে সেখানে।
বিপ্লবী সাহিত্যিক সোমেন চন্দ
(স্মারক সংখ্যা)
সম্পাদনা : নীতীশ বিশ্বাস
ঐকতান গবেষণা পত্ৰ
প্রচ্ছদ : সুকমল মিস্ত্রী
দাম : চল্লিশ টাকা
কলকাতা
Reviews
There are no reviews yet.