মুক্তিযোদ্ধা মহলেও আমি স্বনামধন্য কেউকেটা একজন নই, অথচ দালালদের দৃষ্টিতে একজন পাকা “মুক্তি”। পাকিস্তানী হানাদারদের আশীর্বাদধন্য কিংবা স্বাধীনতা- উত্তর লুটেরাদের অংশীদার কারো তালিকায়ই আমার নাম নেই। বরং আমার প্রাণপ্রিয় উস্তাদ মওলানা অলিউর রহমান হানাদারদের হাতে ১৪ই ডিসেম্বর ৭১, এ রায়ের বাজারের বধ্যভুমিতে বাঙালী বুদ্ধিজীবি হত্যার সময় একত্রে শহীদ হয়েও মীরপুরের বুদ্ধিজীবি হত্যার স্মারক মিনারে শহীদের তালিকায় উল্লেখিত হন নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনাতেই যে মওলানা জালালাবাদী (উবায়দউল্লাহ বিন সাঈদ) আওয়ামী লীগের ৫১, পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় দফতরে পঁচিশে মার্চের কালো রজনীতেও বিশ্বস্ত সৈনিকের মতো অবস্থান করছিল, তারপর মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলা বেতারের উদ্বোধন করেছিল সে আমারই হাতে গড়া অনুজ। এতদসত্ত্বেও স্বাধীনতার ন্যূনতম সুফল বা অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধা আমাদের পরিবার ভোগ করেনি। যদি সেদিন মুক্তিযুদ্ধকালে প্রাণ হারাতাম, যার আশংকা পদে পদেই ছিল–তবে হয়তো আমার অবস্থাও হতো শহীদ মাওলানা অলিউর রহমানের মতো। কেউ ভুলেও হয়তো নাম উচ্চারণ করতো না। যখন বেঁচেই আছি আর সাপ্তাহিক “অগ্রপথিক – সম্পাদক বন্ধুবর অধ্যাপক হাসান আব্দুল কাইউম কর্তৃক অনুরুদ্ধও হয়েছি, তাই অতীতের স্মৃতি আর আজকের বেদনা কয়েক ছত্রে লিখে দিলাম । মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক ও অনুসন্ধিৎসু নিরপেক্ষ পাঠকরা হয়তো এতে আনন্দই পাবেন।
আমি মুক্তিযোদ্ধা আমি রাজাকার
আবদুল্লাহ্ বিন সাঈদ জালালাবাদী আল-আয্হারী
প্রকাশনায় : মুক্তি প্রকাশনী
ইউ/১১ নূর জাহান রোড, মোহাম্মদপুর, ব্লক ডি
ঢাকা-১২০৭ ফোনঃ ৩২৮১৩৯
প্রথম প্রকাশ : ২১ শে ফেব্রুয়ারী, ৯০
৮ই ফাল্গুন ১৩ ৯৬ সন
শুভেচ্ছা মূল্য : শোভন – ২৫.০০ টাকা
সুলভ : ১৫.০০ টাকা
Reviews
There are no reviews yet.