ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের রক্তাক্ত ইতিহাসে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের নেতৃত্বে ১৯৩০-এর এপ্রিলের বিস্ময়কর অসম সাহসী সহিংস বৈপ্লবিক অভ্যু- খানের ঘটনা এক সাড়া জাগানো ইতিহাস হয়ে আছে। সেদিন মাস্টার- দা’ সূর্য সেনের নেতৃত্বে যে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল তার উদ্দেশ্য ছিল, চট্টগ্রামের সরকারী অস্ত্রাগার দুটি দখল করে নিয়ে এবং অন্যান্য এলাকা থেকে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন ও স্বাধীন করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সত্যকার যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া । তাঁদের আশা ছিল, তাঁরা সফল হতে পারলে তারই অনুপ্রেরণায় সারা ভারতবর্ষ সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামে এগিয়ে যাবে এবং ফলে ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষে তার মোকাবেলা করা আর সম্ভব হবে না ।
মাস্টারদা’র নেতৃত্বে তরুণ বিপ্লবীরা বহুদিনের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিয়ে ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল অতর্কিত আক্রমণে শহরের দুটি অস্ত্রাগার দখল করে নেন এবং টেলিফোন, টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করে ও রেল লাইন উপড়ে ফেলে চট্টগ্রামকে অন্যান্য জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। ইণ্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি প্রচারিত ইস্তাহারে চট্টগ্রামের স্বাধীনতা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে যুবক ও ছাত্রদের ভারতীয় প্রজাতন্ত্রী বাহিনীতে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়। ব্রিটিশ শাসন সাময়িকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের পতাকা নামিয়ে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা ।
অগ্নিযুগের চট্টগ্রাম ও আন্দামান স্মৃতি
কালীপদ চক্ৰতী
জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী
প্রচ্ছদ : অশোক কর্মকার
প্রথম প্রকাশ : ফাল্গুন ১৩৯৫, ফেব্রুয়ারী ১৯৮৯
মূল্য : (শোভন) পঁচাত্তর টাকা / (সুলভ) পঞ্চাশ টাকা
প্রকাশক : মফিদুল হক
জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী, ৫১ পুরানা পল্টন, ঢাকা-১১০০
মুদ্রক : মোতাহার হোসেন, প্যাপিরাস প্রেস, ১৪২ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০
Reviews
There are no reviews yet.