…বাংলা শব্দের বানান সহজ করার জন্য বহু বছর হতে একটা তাকিদ চলে আসছে। এই তাকিদের জওয়াবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহজ বানান পদ্ধতি সমর্থন করেছেন এবং ‘পর্বত’, ‘সর্বদা’, ‘উজ্জল’ প্রভৃতি বানানকে জায়েজ করে নিয়েছেন। আমি আরো সহজ বানানের পক্ষপাতী এবং তদনুযায়ী কতকগুলি শব্দের নতুন বানান ব্যবহার করেছি।
আরবী ফারছি হতে নেওয়া শব্দের বানানে ‘ছে’, ‘ছিন’ ও ‘ছোয়াদ’ অক্ষরত্রয়ের বদলে ‘ছ’ এবং শিনের বদলে ‘শ’ ব্যবহার করেছি। কারণ সংস্কৃত ‘স’ দিয়ে ঐ হরফত্রয়ের বদলী দিতে গিয়ে আমরা উচ্চারণে করে ফেলেছি ‘ইশলাম’, ‘কাশেম’, ‘হোশেন’, ‘ইদ্রিশ’—ইত্যাদি। আমার বিবেচনায় ‘ইছলাম’, ‘কাছেম’, ‘হোছেন’, ‘ইদ্রিছ’, লিখনে ভুল কম হয়। ‘ছাদি’, ‘রছ,ল’, ‘মছনভি’, ‘মছজিদ’ লিখেছি; কিন্তু ‘হিসাব’, ‘সালতান’, ‘সিরীয়া’, ‘মিসর’ প্রভৃতি শব্দের বানান বাংলা ভাষায় হজম হয়ে গেছে বলে ওগুলির বানান শদ্ধ করতে চেষ্টা করি নাই।…
-ইব্রাহীম খাঁ
ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
ইব্রাহীম খাঁ
অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেস
লাহোর, করাচী, ঢাকা
১৯৬১
প্রথম প্রকাশ ১৯৫৪
দ্বিতীয় মুদ্রণ ১৯৬১
তৃতীয় মুদ্রণ ১৯৬২
দাম : দু’টাকা পঞ্চাশ পয়সা
মুদ্রাকর : এ. আর. খান, ইডেন প্রেস, ৪২/এ, হাটখোলা রোড, ঢাকা
Reviews
There are no reviews yet.