রোমানজী হাই স্কুলের ছেলেমেয়েরা পিকনিক করার জন্য গোয়া যাচ্ছে। পনের দিনের জন্য। স্কুলের তরফ থেকে সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বোম্বের বন্দরে একটা বড় স্টীমার নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। পিকনিকের জন্য চাঁদা ধাৰ্য করা হয়েছে মাত্র পঁচিশ টাকা। এর মধ্যে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং গোয়ায় পনের দিনের সফরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পিকনিকে যাওয়ার জন্য ছেলেমেয়েরা ভেঙে পড়েছে। মিছেমিছি স্টীমার চালিয়ে হৈ হুল্লোড় করে, হাততালি দিয়ে নেচে গেয়ে সবাই আনন্দ প্রকাশ করছে। দোতালা স্টীমার। উভয় তালাতেই ছেলেমেয়েরা জেঁকে বসেছে। ডেকে দাঁড়ানো ছেলেরা তাদের সঙ্গীদের ডাকছে। ওদের টিকেট পরীক্ষা করা হচ্ছে, ভেতরে আসার জন্য ওরা ছটপট করছে। সমুদ্রোপকূলে অবস্থানকারী ছেলেরা স্টীমারের সিটি ও শব্দাবলীর জবাব দিচ্ছে। তীরে দাঁড়ানো বাপ-মা পিকনিক গমনকারী ছেলে- মেয়েদের উপদেশ দিচ্ছে আর তারা সেদিকে না তাকিয়ে ঘাড় না নেড়ে মুখে শুধু হ হাঁ করছে। কারণ মন তাদের তখন পিকনিকে।
অস্বাভাবিক রকম মোটা, গোলগাল চেহারার অধিকারী রুস্তমকে বোমানজী হাই স্কুলের সবচেয়ে মোটা ছেলে মনে করা হতো। সে তার মাংসে থলথল করা মোটা বাহু উঁচু করে চিৎকার করে উঠলো, ও সঞ্জীবওয়া—জামু — কাম ইন্—কাম ইন্৷
রুস্তম সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। সঞ্জীবওয়া ও জামু তার বন্ধু। ওরা তখন হেড মাস্টারকে পিকনিকের টিকেট দেখাচ্ছে। তাদের দেখেই রুস্তমের এ উল্লাসময় চিৎকার। তার হাতে রকমারী সুন্দর বেলুন। হঠাৎ একই সাথে কয়েকটি বেলুন ফেটে যাওয়ার শব্দ হলো। রুস্তম পিছনে তাকিয়ে দেখে তার পিছনে দাঁড়ানো বিষ্ণু বেলুনে পিনের খোঁচা দিচ্ছে আর খিলখিল করে হাসছে। বিষ্ণুর…
পিকনিক
কৃষণ চন্দর
অনুবাদ : এ. বি. এম. কামালউদ্দিন শামীম
প্রকাশক : চিত্তরঞ্জন সাহা
মুক্তধারা
[স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ]
১৪ ফরাশগঞ্জ, ঢাকা-১ বাংলাদেশ
প্রথম প্রকাশ : এপ্রিল ১৯৭৯
দ্বিতীয় প্রকাশ : আগস্ট ১৯৮১
প্রচ্ছদ ও অঙ্গসজ্জা : সৈয়দ এনায়েত হোসেন
মুদ্রাকর : প্রভাংশুরঞ্জন সাহা
৭৪ য রাশগঞ্জ, ঢাকা-১
মূল্য : বোর্ড বাঁধাই : আট টাকা
সুলভ সংস্করণ : পাঁচ টাকা
Reviews
There are no reviews yet.