১৯৬৪ সালে সের্গেই বারানভ যখন এসেছিলেন বাংলাদেশে, দেশটি তখনও ছিল পূর্ব পাকিস্তান৷ একজন রিসার্চ স্কলার হিসেবে পাকি স্তানের সমাজ ও অর্থনীতির সমীক্ষা গ্রহণই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থানকালে বারানভের গবেষণা তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করে- ছিলেন। ছয় মাস তিনি ছিলেন বাংলাদেশে, নীলক্ষেতে পুরনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের উপরের হোস্টেলে ছিল তাঁর আবাস। সেই সময় তিনি ঘুরে বেড়িয়েছিলেন সারা বাংলাদেশ, প্রায়শই বাসে কিংবা রেলের তৃতীয় শ্রেণীতে এবং আমাদের গ্রামজীবনেরও একটি পরিচয় লাভ করেছিলেন। শিখেছিলেন কাজ চলার মতো বাংলা, দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর নানা ধরনের লোকের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। তৎকালে আইয়ুব সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় যে ক্ষুদ্র বাঙালী বুর্জোয়া শ্রেণী বিকশিত হচ্ছিল তাদের পরিচয় গ্রহণে তিনি বিশেষ সফল হয়েছিলেন।
বারানভের অবস্থানকালে বাংলাদেশ, বিশেষভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল রাজনৈতিকভাবে উত্তাল। রাজনৈতিক আলোচনা ও তৎপরতার পুরোভাগে ছিল আঞ্চলিক বৈষম্য এবং হৃত রাজনৈতিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রশ্ন। এইসব ঘটনাধারার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বারানভ। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ডায়ালেকটিক বিকাশ পর্যবেক্ষণ এবং তার গতিধারা বিশ্লেষণের সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন।
ষাটের দশকের শেষদিকে বারানভ পুনরায় এসেছিলেন বাংলাদেশে।…
পূর্ববাংলা : অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৈশিষ্ট্য
(১৯৪৭-১৯৭১)
সের্গেই স্তেপানোভিচ বারানভ
রেহমান সোবহানের ভূমিকা সম্বলিত
মূল রুশ থেকে অনুবাদ : ডঃ তাজুল ইসলাম, ডঃ আবুল বারকাত, আবদুস সবুর, আবদুল মোমিন ও শোয়েব আলী সিকদার।
জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী
প্রচ্ছদ : অশোক কর্মকার
প্রথম বাংলা সংস্করণ : আষাঢ় ১৩৯৩, জুলাই ১৯৮৬
মূল্য : পঞ্চাশ টাকা
প্রকাশক : মফিদুল হক, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী, ১০ পুরানা পল্টন, ঢাকা-২ মুদ্রক : সুবর্ণ মুদ্রায়ণ, ৭৮/২এ, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা-৩
Reviews
There are no reviews yet.