‘শেষ প্রহরের আলো’ প্রায় সবগুলি গল্পই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই গল্পগুলি আমার ছাত্রজীবন থেকে ১৯৬৯ সালের মধ্যে রচিত।
গল্প সংগ্রহখানি প্রকাশের ব্যাপারে ‘নিরন্তর স্বর’ এর কবি খান আবদুর রশিদ এবং ইংরেজীর অধ্যাপক ¯েœহাস্পদ আবদুল্লা আল-হাসানের সৌজন্য ও সহযোগিতা পেয়েছি অনেক।
পাতা মুড়িবেন না
দাগ দিবেন না এয়োতি
ঘুম এসেছিল সিতারার।
ঘড়ির আওয়াজে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল। জেগে দেখে শফিক ফেরেনি। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত দুটো। ধড়ফড় করে সে উঠে বসলো বিছানায়- এমন তো কোনদিন হয়নি। কেমন যেন ভয় করতে লাগলো তার। ঘরের দরজার খিল বন্ধ করা নাই- শুধু ভেজানো রয়েছে। কিছুক্ষণ স্থাণুর মত বসে রইলো সিতারা। ভাবলো- বাইরে গিয়েছি, হয়তো এখনই ফিরে আসবে। ঘড়ির বড় কাঁটাটা ঘুরে এলঅ একপাক, ঢং ঢং করে তিনটা বাজলো- কিন্তু কৈ আসছে না তো সে? অস্থির হয়ে সে উঠে পড়লো বিছানা থেকে। শ্বশুর-শাশুড়ী পাশের ঘরেই ঘুমুচ্ছেন। দরজা খুলে বৌকে দেখে অবাক- বৌমা!
শক্তি- তা কীরূপ?
সঙ্গে সঙ্গেই তোমায় বলে দিই, কেউ কখনও শক্তি দেখে নি। তার কোন রঙ নেই, স্বাদ নেই, গন্ধ নেই। তা ধরাও যায় না, ছোঁয়াও যায় না। শক্তিকে ‘দেখার’ একমাত্র উয়ায়টি হল তাকে কাজ করতে বাধ্য করা।
আজ মানুষ এই অদৃশ্য বস্তুটির প্রায় সমস্ত রহস্যই জেনে ফেলেছে। শক্তি হয় পাঁচ ধরনের: রাসায়নিক শক্তি, তাপ শক্তি, যান্তিক, বৈদ্যুতিক ও পারমাণবিক শক্তি।
তবে আপাতত আমরা এই সমস্ত শক্তির ‘স্বভাব ও চরিত্র’ নিয়ে বিশদ আলোচনা করব না। এ সম্পর্কে কথাবার্তা হবে পরে। বইটি তো ওই জন্যই লেখা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.