শিল্প ও সমাজ-জীবন (pdf book)

এক
যে সব কাৰ্য-সাহিত্য যথেষ্ট উন্নত, তাদের কাছে শিল্পের সঙ্গে সমাজ জীবনের সম্পর্ক সংক্রান্ত প্রশ্নটি বেশ বড়ো আকারে দেখা দিয়েছে। প্রায়শই সম্পূর্ণ পরস্পর-বিরোধী অর্থে প্রশ্নটির জবাব দেওয়া হয়।
কেউ কেউ বলেন : স্যাবাথ বা বিশ্রামের দিন উপভোগের জন্যে মানুষের সৃষ্টি হয়নি, মানুষের জন্যেই সৃষ্টি হয়েছে স্যাবাথ ; শিল্পীর জন্যে সমাজের সৃষ্টি হয়নি, সমাজের জন্যেই শিল্পীর সৃষ্টি হয়েছে। শিল্পের কাজ হচ্ছে মানুষের চেতনার বিকাশে, সামাজিক ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে সহায়তা করা।
অন্যপক্ষ প্রবলভাবে এই মত নাকচ করে দেন। তাঁদের মতে শিল্পই শিল্পের লক্ষ্য ; শিল্প-বহির্ভূত অন্য কোনো লক্ষ্য সাধনের, তা যতই মহত্তম হোক না কেন, মাধ্যম হিসাবে শিল্পকে ব্যবহার করলে, তাতে শিল্প-সৃষ্টির মৰ্য্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়।
ষাটের দশকে আমাদের প্রগতিশীল সাহিত্যে এই দুটি মতই সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে৷ সমকালীন সাহিত্য-সমালোচনায় এই মতের শ্রেষ্ঠ প্রবক্তা হিসাবে চেরনিশেভস্কি ও দোবরোলিয়ুব ভ-এর নাম করা যেতে পারে। পিসারেভ -এর চরম একপেশে মতামত বিষয়টিকে প্রায় ব্যঙ্গে পর্যবসিত করেছে। তাই তাঁর নাম উল্লেখ না করলেও চলে। চেরনিশেভস্কি তাঁর প্রথম দিকের একটি সমালোচনায় লিখেছিলেন:
মানুষের “শিল্পের জন্যেই শিল্প’ এই ধারণা ‘বিজ্ঞানের জন্যেই বিজ্ঞান’, ‘সম্পে জন্যেই সম্পদ’ ইত্যাদি ধারণার মতো আমাদের সময়ে বড়ই অদ্ভুত। যাবতীয় কাজকর্ম যদি অর্থহীন ও অপ্রয়োজনীয় না হয়, তাহলে সেগুলিকে অবশ্যই মানুষের কাজে লাগাতে হবে। মানুষের কল্যাণের জন্যেই সম্পদ, আর বিজ্ঞান মানুষের পথ-প্রদর্শক। শিল্পও মানুষের কিছু প্রয়োজনীয় উদ্দেশ্য সিদ্ধ করে, এটা নিষ্ফল আনন্দ নয়। চেরনিশেভস্কির মতে শিল্পের মূল্য, বিশেষত…

শিল্প ও সমাজ-জীবন
জি. ভি. প্লেখানভ
৪৪/৫, উত্তর ধানমণ্ডি,
কলাবাগান, ঢাকা-১২০৫
মনীষা
প্রকাশকাল : ১ মে ১৯৮৯
প্রকাশক : মণি সান্যাল
৪/৩বি, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলিকাতা-৭৩
মুদ্রক : বর্ণাক্ষর প্রেস
কলেজ রো, কলিকাতা-১
দাম : আট টাকা