“ভারত শ্রমজীবী” থেকে “গণবাণী”
শ্রমজীবী পত্রিকার রূপান্তর
আজ থেকে ১২০ বছর আগে, পৃথিবীর সংগ্রামী শ্রমিকশ্রেণীর প্রথম আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কিং মেনস অ্যাসোসিয়েশনের শাখা ভারতে খোলবার আগ্রহ দেখিয়ে লণ্ডনে কে বা কারা একটি চিঠি লেখেন। সে চিঠিটা নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রথম আন্তর্জাতিকের কেন্দ্রীয় পরিষদ। ১৮৭১-এ ১৯শে আগষ্ট লণ্ডনের বামপন্থী দৈনিক “ইষ্টার্ণ পোষ্ট”-এ খবর •বেরয় যে “কলকাতা থেকে একটি চিঠি এসেছে যাতে ভারতবর্ষে একটি শাখা খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পত্র লেখক লিখেছেন : জনসাধারণের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ রয়েছে এবং ইংরেজ সরকারকে তারা খুবই অপছন্দ করে । সরকার অত্যধিক এবং রাজস্বের বেশীর ভাগই চলে যায় ব্যয়বহুল মাথাভারী আমলাতন্ত্রকে পোষণ করতে। তারই পাশাপাশি চোখে পড়ে শ্রমজীবীদের চরম দুর্দশা—যে শ্রমজীবীরাই সৃষ্টি করে চলেছে সে দেশের সম্পদ। আন্তর্জাতিকের শাখা এদেশে খোলা হলে তার নীতি সহজেই জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারবে।”১
এর এক পক্ষকাল পরে ১৮৭১-এর ২রা সেপ্টেম্বরে ঐ সংবাদপত্রে খবর বেরল যে প্রথম আন্তর্জাতিকের কেন্দ্রীয় পরিষদের অধিবেশনে কলকাতা থেকে আসা চিঠিটি পড়া হয় এবং ভারতে শাখা খোলার অনুমতি দিয়ে সবাই মত প্রকাশ করেন যে ভারতের বিভিন্ন ধর্মের, বর্ণের ও শ্রেণীর মানুষকে একত্র করে রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার অর্জনের সংগ্রামে যোগ্য নেতৃত্ব দিতে পারবে একমাত্র ও ভারতের শ্রমিকশ্রেণীই। এই সভাটি পরিচালনা করেন কার্লমার্কস স্বয়ং।
ইতিহাসের ছাত্রদের কাছে স্বাভাবিকভাবে যে প্রশ্ন উঠবে, তা এই যে সত্যসত্যই কি ১৮৭০-৭১-এ কলকাতা ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে কলকারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংগ্রামী মেজাজ ও সংগঠন গড়ার প্রবল ইচ্ছা দেখা গিয়েছিল? সেই আদি যুগের ভারতীয় শ্রমিকশ্রেণীর কাজকর্মের ও জীবন- যাত্রার অবস্থাই বা কি ছিল? ভারতের বিপুল দরিদ্র ও শোষিত কৃষক…
সংহতি লাঙ্গল গণবাণী
সম্পাদনায় : গৌতম চট্টোপাধ্যায়
পুনর্মুদ্রণ ১৯৯২
কে পি বাগচী অ্যাণ্ড কোম্পানী
২৮৬ বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রীট, কলকাতা-৭০০০১২
ISBN 81-7074-116-5
কে পি বাগচী অ্যাণ্ড কোম্পানী,
২৮৬ বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রীট, কলকাতা-৭০০০১২ হইতে প্রকাশিত এবং কালান্তর প্রেস, ৩০/৬ ঝাউতলা রোড, কলকাতা-৭০০০১৭ হইতে মুদ্রিত।
Reviews
There are no reviews yet.